চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবারের মতো পর্দা নামলো বাংলাদেশ দলের। টানা ৬ষ্ঠ বারের মতো ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম আসরের মূলপর্বে জয়হীন থাকলো টাইগাররা। আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় হারেই শেষ হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীদের আমিরাত বিশ্বকাপ।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাজে শুরু করেন টাইগাররা। আসা-যাওয়ার মাঝে থাকা বাংলাদেশিদের কোনো ব্যাটসম্যানই দেখাতে পারেননি এতটুকুও আশা! বরং অপেশাদার, দায়িত্বহীন এবং বাজে শটের মহড়ায় টাইগাররা গড়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চতুর্থ সর্বনিম্ন রান। দেশের হিসেবে সেটা এই সংস্করণের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন ছিলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রান।
এদিন টাইগারদের ছোড়া ৭৪ রানের টার্গেট মাত্র ৬.২ ওভারেই পেরিয়ে যায় অজিরা। তাদের হারানো দুটি উইকেটের একটি নেন তাসকিন আহমেদ। তিনি ৩.২ ওভারে খরচ করেন ৩৬ রান। ডেভিড ওয়ার্নারকে ১৮ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। বরাবরের মতো আসরে খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ ওভারে তার বল থেকে ৩২ রান সংগ্রহ করেছেন অজি ব্যাটাররা।
তবে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ২০ বলে ৪০ রানের ঝড়ে ৮২ বল থাকতেই জয়ের পথ সুগম করে রাখে অস্ট্রেলিয়া। শেষে ৫ বলে মিচেল মার্শের ১৬ রানে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় অজিরা।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে বাজে শুরু করেন টাইগাররা। শুরুর দিকে বাজে শটে ফিরেন সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিম। মিচেল মার্শের দুর্দান্ত ইয়র্কার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হন লিটন দাস। পরে অস্ট্রেলিয়ান দীর্ঘদেহী এই পেসার নেন আরো একটি উইকেট। খরচ করেন ৪ ওভারে ২১ রান।
সবশেষে কোনোমতে ৭৪ রানের একটি টার্গেট ছুড়তে পারে বাংলাদেশ। যা বিশ্বকাপের যেকোনো দলের হয়ে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। লিটন-সৌম্যদের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ার দিনে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। নিজের কোটার ওভার শেষে মাত্র ১৯ রান খরচে পেয়েছেন ৫টি উইকেট। অবশ্য তাসকিনের ক্যাচটি ম্যাথু ওয়েড মিস না করলে জাম্পা পেয়েও যেত হ্যাটট্রিকের দেখা। কিন্তু ইনিংসের সমাপ্তিটা টানা হলো তার হাতেই।
মোস্তাফিজকে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ বানানোর পর স্লিপে শরিফুলকে ক্যাচ বানান ফিঞ্চের। তাতেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটের দেখা পেলো জাম্পা। ১৫ ওভারে অলআউট হওয়ার পথে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেছেন শামিম হোসেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মোহাম্মদ নাঈমের। ১৮ বলে ১৬ রান করেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
অজিদের দুর্দান্ত জয়ের নায়ক বনেছেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। পয়েন্ট টেবিলেও দুর্দান্ত এগিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন টেবিলের দুইয়ে। সমান ম্যাচ ও হারে সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।