শারজায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে নামিবিয়াকে ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রাখল নিউজিল্যান্ড দল। ম্যাচের শুরুতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গ্লেন ফিলিপস এবং জিমি নিশামের ব্যাটের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড দল। জবাবে খেলতে নেমে ১১১ রানে থেমেছে নামিবিয়ার ইনিংস।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরার্দ ইরাসমাস। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড দল। দলীয় ৩০ এবং ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। আরেক ওপেনার ড্যারি মিচেল আউট হওয়ার আগে করেন ১৯ রান।
তৃতীয় উইকেটে জুটিতে ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৩৮ রান। নামিবিয়ান অধিনায়ক ইরাসমাসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে কিউই দলনেতা করেন ২৮ রান। আর ১৭ রান করে রানআউট হন কনওয়ে।
১৬ ওভারেও একশ করতে না পারা দলকে শেষের চার ওভারের ৬৭ রান উপহার দেন জিমি নিশাম এবং গ্লেন ফিলিপস। পঞ্চম উইকেটে এই দুজন মিলে করেন অপ্রতিরোধ্য ৭৬ রানের জুটি রান। শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে ৩৯ রানে ফিলিপস এবং ৩৫ রানে নিশাম অপরাজিত থাকেন।
১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি নামিবিয়ার। ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রান তুলেন স্টিফেন বার্ড এবং মিচেল ভ্যান লিনগেন। ব্যীক্তগত ২৫ রানে লিনগেন এবং ২১ রানে আউট হন বার্ড। এদিকে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসা দলীয় অধিনায়ক জেরার্দ ইরাসমাস করেন মাত্র ৩ রান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জানে গ্রিনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন দলীয় অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইস। কিন্তু ম্যাচ আর জেতানো সম্ভব হয়নি। ১৬ রানে ফেরেনে ওয়াইস, আর গ্রিন আউট হওয়ার আগে করেন ২৩ রান। এরপর বলার মতো স্কোর করতে পারেননি কেউই। জান নিকোলস এবং ক্রেইগ উইলিয়াম ফিরেছেন শূন্যরানে। এছাড়া ৯ রানে স্মিট এবং ৬ রানে ট্রাম্পলম্যান অপরাজিত থাকেন।