টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯ রান করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দারুণ একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য। তবে সে জন্য প্রয়োজন ছিল অন্তত ১৩০ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডকে আটকে রাখতে হবে।
ইংলিশদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ঠিকই; কিন্তু সেটা বড্ড অসময়ে। অর্থ্যাৎ, ঠিকই ইংল্যান্ড ১৩০ রান পার হয়েছে। ইয়ন মরগ্যানরা গিয়ে থেমেছে ১৭৯ রানে। মাত্র ১০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেলেও, সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো তারা।
মূলতঃ বাংলাদেশকে ৭৩ রানে অলআউট করে দিয়ে ৩৮ বলেই অস্ট্রেলিয়া যে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল, তাতেই তাদের রানরেট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল অনেক বেশি। প্লাস তো হয়েছিলই, সঙ্গে রান রেটটাও বাড়িয়ে নিতে পেরেছিল তারা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের সেই জয়ই আজ অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে তুলে দিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে দিলো।
সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১ এ ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া- এই তিন দলই জিতেছে সমান চারটি করে ম্যাচ। অথচ কপাল পুড়লো কেবল দক্ষিণ আফ্রিকারই। তাদের রান রেট অন্য দুই দলের তুলনায় কম।
ইংল্যান্ডের রান আটকে রাখার জন্য শুরুতেই স্পিনার কেশভ মাহারাজকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়েছিলেন প্রেটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। প্রথম ওভারে ২ রান দিয়ে মাহারাজ ধারণা জন্ম দিয়েছিলেন, হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকারই দিন আজ।
কিন্তু পরের ওভারে অ্যানরিখ নরকিয়া বোলিংয়ে আসার পরই তাণ্ডব শুরু করে দেন জেসন রয় এবং জস বাটলার। দলীয় ৩৮ রানের মাথায় জেসন রয় আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর কিছুটা রানের গতি কমেছিল। কিন্তু উইকেটে সেট হয়েই মইন আলি ঝড় তোলা শুরু করেন।
যার ফলে ১৫ ওভার আগেই কাংখিত ১৩০ রানের বাধা পার হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন মইন আলি। ১৫ বলে ২৬ রান করেন বাটলার। ২৬ বলে ৩৩ রান করেন ডেভিড মালান। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৭ বলে করেন ২৮ রান।
শেষ ওভারে রাবাদার হ্যাটট্রিকই মূলতঃ শেষ মুহূর্তের পার্থক্যটা গড়ে দেয়। টানা তিন বলে তিন উইকেট নেয়ার ফলে ইংলিশরাও আর হাত খুলতে পারেনি। না হয়, বাকি ১০ রানও হয়তো তারা তুলে ফেলতে পারতো।
রাবাদা ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস এবং তাবরিজ শামসি। ১ উইকেট নেন অ্যানরিখ নরকিয়া।