মেহেরপুরের গাংনীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত মহিলা শেফালী খাতুন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শেফালী খাতুন নিহত সাহাদুলের স্ত্রী। কুষ্টিয়ার হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সোমবার (০৮ নভেম্বর) সকালে গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষি নারায়ণপুর ধলা গ্রামে ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী টুটুল ও আতিয়ার রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষে মইনুল হক টুটুল পক্ষের দুজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় কমপক্ষে আহত হয়েছেন ২০ জন। নিহতরা হলেন- সুলতানের ছেলে সাহাদুল (৫৫) ও জাহারুল (৫৭)। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাহাদুলের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন জানান, বর্তমান মেম্বার মইনুল হক টুটুলের লোকজন সকালে ভোট চাইতে গেলে আতিয়ার রহমানের লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাহাদুল ও জাহারুল। নিহতদের বাড়ি ঘরেও হামলা চালানো হয়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান দুজন নিহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।