শারজায় অনুষ্ঠিত সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনালে উঠল দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তান। ম্যাচের শুরুতে শোয়েব মালিকের ঝড়ো ফিফটি এবং বাবর আজমের ক্যামিও ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৯ রানের বড় স্কোর পেল পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১১৭ রানে থামে স্কটিশদের ইনিংস।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্কটল্যান্ডের। ৯ রানে কাইল কোয়েটজার আউট হওয়ার পর জর্জ মুনশি ফেরেন ১৭ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ম্যাথু ক্রস রান আউট হওয়ার আগে করেন ৫ রান। আর ড্যালন বার্গ খুলতেই পারেননি রানের খাতা।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে মিচেল লেস্ককে সঙ্গে নিয়ে হারের ব্যবধানটা কমাতে থাকেন রিচি বেরিংটন। ১৪ রানে লেস্ক ফিরলেও শেষ পর্যন্ত খেলে যান বেরিংটন। ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলতেও সক্ষম হন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। এছাড়া ২ রানে অপরাজিত থাকেন মার্ক ওয়াট।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম। তবে ব্যাট হাতে শুরুটা ততটাও ভালো করতে পারেননি দুই ওপেনার। ১৯ বল খেলে ১৫ রান তুলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে মাত্র ৮ রান করতে পারেন ফখর জামান।
এ সময় কিছুটা চাপেই পড়েছিল পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন বাবর। মাত্র ১৯ বল খেলে ৩১ রান তুলে ফেরেন হাফিজ। এদিকে আপনতালে ব্যাট করতে থাকা দলীয় অধিনায়ক তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপের চতুর্থ ফিফটি। আউট হওয়ার আগে করেন ৬৬ রান।
এরপর ব্যাট হাতে শারজার মাঠে রীতিমতো ঝড় তুলেন দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। শেষ দুই ওভারে তুলেন ৪৩ রান। সেই সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে দ্রুততম অর্ধশতক তুলার ক্ষেত্রে লোকেশ রাহুলের রেকর্ডে ভাগ বসান মালিক। শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে মাত্র ১৮ বল খেলে অপ্রতিরোধ্য ৫৪ রান করেন। এছাড়া ৫ রানে অপরাজিত থাকেন আসিফ আলি।