জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশের জন্য ৪১৩ মিলিয়ন নতুন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। ১০০ বিলিয়নের জায়গায় অর্ধবিলিয়নও প্রতিশ্রুতি মেলেনি উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারের গ্রিন জোন থেকে এই ঘোষণা আসে। ১১টি দেশ ও একটি অঞ্চল জলবায়ু সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তহবিলের জন্য এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৪৬টি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি এই জলবায়ু তহবিল ব্যয় করবে। যেসব দেশ কার্বন নিঃসরণে সবচেয়ে কম অবদান রেখেছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সর্বোচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে সেসব দেশের জন্য মূলত এই তহবিল।
বেলজিয়াম, বেলজিয়ামের ওয়ালুন অঞ্চল, কানাডা, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্লাসগোতে এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে।
এদিন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে স্বাক্ষরকারীরা জলবায়ু অর্থ বন্ধ না করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
সবুজ জলবায়ুর জন্য বাস্তবায়িত জিসিএফ তহবিলের মাধ্যমে ২০০১ সাল থেকে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৫০ মিলিয়ন মানুষকে জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করা হয়। এছাড়া ৬ মিলিয়ন হেক্টর জমির জলবায়ু সহনশীল ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা হচ্ছে এই তহবিলের আওতায়। জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি কমাতে এই তহবিল দেশগুলোকে সহায়তা করে।