বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট উত্তরণে আগামী দশকে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু জম্মেলন কপ২৬ থেকে এমন বিরল ঘোষণা এসেছে। বিশ্বের এই দুই অন্যতম কার্বন নির্গতকারী দেশ যৌথ ঘোষণায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বুধবারের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয় রোধে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে বেইজিং-ওয়াশিংটন। প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার কথা ছিল।
মিথেন নির্গমন, ক্লিন এনার্জিতে রূপান্তর এবং ডি-কার্বনাইজেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়। এ বিষয়ে মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ থাকলেও জলবায়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পারস্পারিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করাই একমাত্র পথ। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পদক্ষেপই এখন গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে সামনে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে’। এমন পদক্ষেপে স্বাগত জানিয়েছে জলবায়ুবিষয়ক আন্দোলনকারীরা।
যদিও বিশ্বে কার্বন নিঃসরণে সবার উপরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। পিছিয়ে নেই রাশিয়া, ভারত এবং জার্মানিও ।
এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে আগামী সপ্তাহে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে তাইওয়ানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা জানায়নি কোনও পক্ষ।