রেইনট্রি মামলার রায়ে নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

আলোচিত রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই রায়ে তিনি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন্

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের অবদানের বিষয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব।

universel cardiac hospital

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার একটা মামলার রায় হয়েছে। রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকাতে.. ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করা হচ্ছে, আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস।

তিনি বলেন, কেন? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে, যারা যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদেরকে একুইজড করা হয়েছে- দে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এতো টাকা! জুয়েলারি, এমপি.. এই সমস্ত। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করে এদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না।

এ সময় ফখরুল বিভিন্ন দেশে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান। বলেন, আমাদের দেশের নেতা বাইরে গিয়ে কথা বললে দুঃখের কিছু নেই। কিন্তু তার দেশে তিনি কী করছেন, তার দেশের মানুষ কেমন আছেন-এটা ভাবার বিষয়। আজকে কষ্টের বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গণতন্ত্র সভা ডেকেছেন ১০০ দেশকে নিয়ে। সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই।

আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করছে দাবি করে তিনি বলেন, এরা ইতিহাস বিকৃত করছে সমানে। এই ১৫ আগস্ট কে ঘটিয়ছে? খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন। এটাই ইতিহাস। আর দোষারোপ করেন মেজর জিয়াকে।

ফখরুল বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) দায়িত্ব ছিল গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা। অথচ আপনারা বহুদলীয় শাসনব্যবস্থাকে বাতিল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থায় নিয়ে এসেছিলেন আগে। আর এবার কী করলেন? যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটা নির্বাচন হয়ে গেল সুষ্ঠুভাবে, সেই ব্যবস্থাকে বাতিল করলেন।

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টি আবুল কাশেম, জাগপার আওলাদ হোসেন শিল্পী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন