রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে করা মামলার রায় দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেগম কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা থেকে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামিকে খালাস দেন।
আলোচিত মামলাটির রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত প্রমাণ সম্ভব না। তাই ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পার হলে যেন মামলা না নেয়, পুলিশকে সেই ‘পরামর্শ’দেন বিচারক।
বিচারপতির এমন বক্তব্য অসাংবিধানিক বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসাথে ওই বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবেও বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার জন্য এক বিচারকের পর্যবেক্ষণ (মতামত) সম্পূর্ণ বে-আইনি ও অসাংবিধানিক। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।’