রায় হয়নি মডেল তিন্নি হত্যার, ফের হবে সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০২ সালে খুন হন মডেল তিন্নি
২০০২ সালে খুন হন মডেল তিন্নি। ফাইল ছবি

১৯ বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী আদালতে এ রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। এদিন মডেল তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম মামলার সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত মামলাটি রায় ঘোষণা উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

universel cardiac hospital

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর একই আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। ওই দিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।

১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। কিন্তু পানিতে নয়, মরদেহটি পড়ে পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে।

অন্যদিকে, তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। মামলায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয়।

মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর এর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়াও এ মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

শেয়ার করুন