কড়াইল দিয়ে বস্তিবাসীদের টিকাদান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্তিবাসীদের টিকাদান কার্যক্রম
বস্তিবাসীদের টিকাদান কার্যক্রম। সংগৃহীত ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বস্তি এলাকায় টিকাদান শুরু করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর করাইল বস্তির বাসিন্দাদের টিকাদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার মত ও পথকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, আজ রাজধানীর কড়াইলে বস্তিবাসীদের টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছি। টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দুই দিন টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন আমরা চিন্তা করছি পুরো বস্তিবাসীদের একেবারে কভার করতে। ক্যাম্পেইন হলো এক জিনিস, যেখানে আমরা এক দিন বা দুই দিন দিলাম। কিন্তু এখন আমরা এটাকে ক্যাম্পেইন বলছি না, পুরো বস্তিকেই আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসব। যে কয়দিনই লাগে, এ কার্যক্রম চলবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের বস্তিগুলোকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব।

ডা. শামসুল হক বলেন, আগে আমরা বিভিন্ন জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করলেও বস্তি এলাকায় টিকাদান সেভাবে দেওয়া হয়নি। এতদিন ক্যাম্পেইনের ভিত্তিতে আমরা টিকা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কড়াইল বস্তিতে তিন লাখের মতো মানুষ আছে। তাদের অনেকেই টিকা নিয়েছে, যারা নেয়নি তাদেরই আমরা টিকা দেব। তবে অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়া হবে, এর নিচে নয়।

যাদের নিবন্ধন নেই, তাদের কীভাবে টিকা দেওয়া হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ কর্মকর্তা বলেন, এখানে উপস্থিতির ভিত্তিতেই যারা আসবে তাদের অনস্পট নিবন্ধন করানো হবে। আমরা আগেও অনেক জায়গায় যারা নিবন্ধন করেনি, তাদের এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমেই নিবন্ধন করিয়ে টিকা দিয়েছি।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) এক অনু্ষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বস্তি এলাকায় টিকাদান কর্মসূচির কথা জানান। তখন তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ কমার অন্যতম কারণ হলো টিকা। আমরা ইতোমধ্যেই প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছি ৫ কোটিরও বেশি মানুষকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি ৩ কোটির বেশি মানুষকে। দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৫ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছেন। নভেম্বর মাসে তিন কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে ৭০ ভাগ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বস্তিদায়ক জায়গায় রয়েছে। আমরা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পেরেছি। রোববার মাত্র চার জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, গত এক মাস ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আমরা চাই দেশের সংক্রমণ ও মৃত্যু শূন্যের কোটায় চলে আসুক। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে আশা করি দ্রুতই শূন্যে নেমে আসবে।

শেয়ার করুন