আগামী জানুয়ারিতেও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পুরোপুরিভাবে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরুতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পুরোপুরিভাবে সম্ভব না হলেও এ বছরের তুলনায় বৃদ্ধি করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক হবে।
মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের যে সময় নষ্ট হয়েছে, তা আমরা পরবর্তী সময়ে সমন্বয় করার ব্যবস্থা করব। তবে ভবিষ্যতে পাবলিক পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। আশা করি, ভবিষ্যতে এ বছরের মতো আর এমন দেরি হবে না।
দীপু মনি বলেন, করোনায় যেখানে সারা বিশ্বে মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে পড়েছে, সেখানে আমরা এ অতিমারির মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা নিতে পারছি, সে জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
‘বিশেষ করে আমাদের শিক্ষার্থীরা যে ধৈর্য ধরেছে, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। কারণ এ করোনা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই এ অতিমারিকে যেভাবে মোকাবিলা করেছে এবং জনগণ যেভাবে সহযোগিতা করেছে, এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, মাউশির আঞ্চলিক কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার, হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আল আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১২-১৮ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দীপু মনি।