ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা মেটাতে পারলো না ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কেউ। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের লড়াইয়ে যেখানে সবার আশা আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আর একের পর এক গোলের, সেখানে শুধু কিছুক্ষণ পরপর দেখা মিললো অযথা সব ফাউলের।
বুধবার ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর এবারই প্রথম মুখোমুখি পূর্ণ ম্যাচ খেললো দুই দল। কিন্তু সেখানে এলো না কোনো ফল, ম্যাচ শেষ হলো গোলশূন্য ড্র-য়ে। তবে দুই দল মিলে ফাউলই করেছে ৪২টি!
এরই মধ্যে লাতিন অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেছে ব্রাজিলের। তাদের সামনে সুযোগ ছিল কোপার ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নেওয়ার। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা জিতলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যেত দ্বিতীয় দল হিসেবে ২০২২ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।
হয়নি কোনোটিই। আর্জেন্টিনার সান জুয়ানে খেলা ম্যাচটিতে দুই দলই লড়েছে প্রায় সমানে সমান। পুরো ম্যাচে সমান নয়টি করে শট নিয়েছে দুই দল। কিন্তু স্পষ্ট ছিল ফিনিশিং ব্যর্থতা। আর্জেন্টিনার তিন ও ব্রাজিলের দুইটি শট লক্ষ্য বরাবর থাকলেও, জালে জড়ায়নি একটিও।
গোলহীন এই ম্যাচে দুই দল মিলে উল্টো ফাউল করেছে ৪২টি। এখানেও সমতা। দুই দলের ফাউল সংখ্যা সমান ২১টি করে। তবে কার্ড দেখেছে বেশি আর্জেন্টিনা। তাদের চার ফুটবলারের হলুদ কার্ডের বিপরীতে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা দেখেছে তিন হলুদ কার্ড।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে রদ্রিগো ডি পলের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন। এর বাইরে মাঝমাঠে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের আভাস থাকলেও, হতাশাই মিলেছে দুই দলের আক্রমণভাগ থেকে।
সবচেয়ে সহজ সুযোগটি ছিল ব্রাজিলের তরুণ ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সামনে। ম্যাচের ৭০ মিনিটের সময় গোলরক্ষককে একা পেয়েও দুর্বল শট নেন রিয়াল মাদ্রিদের এই স্ট্রাইকার। এর মিনিট দশেক আগে পোস্টে লেগে ফেরত আসে ফ্রেডের শট। ফলে মেলেনি আর গোল।
এই ড্রয়ের পর ১৩ ম্যাচ শেষে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার ওপরে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আর্জেন্টিনা। দুই দলই অপরাজিত রয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। সবমিলিয়ে ২৭ ম্যাচ ধরে অপরাজিত কোপার শিরোপাজয়ী আর্জেন্টিনা।