পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সপ্তম দফার শেষ দিনে আদালতের কার্যক্রম চলছে।
বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামকে জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার এএসপি খাইরুল ইসলামকে আদালতে সাক্ষ্যপ্রদান করেন। তবে সময় স্বল্পতার কারণে তাকে জেরা করতে পারেননি আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা এবং দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, দিনব্যাপী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। আজ আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ কারণে আজ অন্য কোনো সাক্ষীর হাজিরা দেওয়া হয়নি। আশা করি আজকে এএসপি খাইরুল ইসলামের জেরা সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলায় গত ২৭ জুন আদালত ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় আদালতে আনা হয়।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাস, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
আলোচিত এ মামলায় গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত ২৭ জুন আদালত ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।