বাসভাড়া নিয়ে রাজধানীতে চলছে এক ধরনের নৈরাজ্য। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া ২৬.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ভাড়ার নতুন হার নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয় যে, সিএনজিচালিত বাসের ভাড়া আগের মতোই থাকবে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, অনেক বাসেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, ফলশ্রুতিতে বাসভাড়া নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা, এমনকি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।
আবার কিছু বাস গেটলক, সিটিং ইত্যাদি নাম দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। বাসে ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে রাখার কথা থাকলেও অনেক বাসে তা করা হয় না। এরাও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। আবার সিএনজিচালিত বাসগুলো নানা কৌশলে ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া আদায় করছে। সরকার এ বাসগুলোতে ‘সিএনজিচালিত’ স্টিকার লাগানোর কথা বলেছে। কিন্তু সিএনজিচালিত অনেক বাসেই দেখা যায়, ‘ডিজেলচালিত’ স্টিকার লাগিয়ে রাখা হয়েছে।
এমতাবস্থায় আমরা বাসগুলোতে ভাড়ার নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা, বিশেষ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানাই। এক্ষেত্রে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি ফাঁকফোকর বন্ধের উদ্যোগও নেওয়া জরুরি। এর পরও যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে বাসের রুট পারমিট বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা যাঁরা গণপরিবহন চালাবেন, তাঁদের অবশ্যই সরকার নির্ধারিত নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে। কাজেই বাসভাড়াসহ গণপরিবহনে নৈরাজ্য দূর করতে বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আরও তৎপর হওয়া এখন গণদাবি।