নোয়াখালীতে আ.লীগ নেতার বাড়িতে হাতবোমা–গুলি, অভিযোগ কাদের মির্জার দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের বাড়িতে হাতবোমা নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় খিজির হায়াত খানের পরিবারের সদস্যরা আসবাবের আড়ালে লুকিয়ে কোনো রকমে নিজেদের রক্ষা করেন।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর রাতেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া গত ৮ মার্চ কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট রুপালি চত্বরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে তাঁর অনুসারীদের হামলার শিকার হন খিজির হায়াত খান।

universel cardiac hospital

আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান হামলা-ভাঙচুর ও গুলির ঘটনার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

খিজির হায়াত খান গণমাধ্যমকে বলেন, আজ দুপুরে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় তিনি পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গত ১০ মাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খিজির হায়াত খান অভিযোগ করেন, প্রতিনিধি সভায় বক্তব্যের জের ধরে কাদের মির্জার ক্যাডার বাহিনী রাত পৌনে আটটার দিকে অতর্কিতে তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর বসতঘর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে এবং পাকা ভবনের কাচের জানালা ভেঙে তছনছ করে। তাঁরা এ সময় অনেক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। হামলাকারীরা জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরেও ককটেল নিক্ষেপ করে।

খিজির হায়াত খান জানান, হামলা-ভাঙচুরে তাঁর বসতঘরের প্রতিটি দরজা, জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনিসহ পরিবারের লোকজন ভয়ে আসবাবের আড়ালে গিয়ে কোনো রকমে নিজেদের রক্ষা করেছেন। হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তাদের নাম তিনি থানা-পুলিশকে দিয়েছেন।

এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলার ঘটনার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, মুখোশধারী একদল যুবক আওয়ামী লীগ নেতা খিজির হায়াতের বাড়ির দিকে ঢুকছেন। এর মধ্যে বন্দুক হাতে দুজন বসতঘরের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে ভেতরে ঢোকেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, রাত পৌনে আটটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ফিরে এলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।

একই বিষয়ে জানার জন্য রাত ৯টা ৫০ মিনিটে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সে কারণে ঘটনার বিষয়ে জেলা পুলিশের পদক্ষেপের বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন