উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়ন। বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণে এক নৌকার সমর্থক নিহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদককে দল থেকে বহিষ্কার করায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুলিবিদ্ধ নৌকা প্রতীকের পাঁচ সমর্থকদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো কয়েছে। অন্য দুজন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে হামলায় ককটেল বিস্ফোরণের সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে আব্দুল হক (৪৮) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তার স্বজনদের দাবি, মারধর করে হত্যা করা হয় আব্দুল হককে। নিহত আব্দুল হক স্থানীয় মঞ্জিল হকের ছেলে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কেন্দ্র করে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছিল চরকেওয়ার ইউনিয়নে। রোববার রাতে ছোট মোল্লাকান্দি ও খাসকান্দি এলাকায় স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার সমর্থকদের ওপর। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে।
ভাঙচুর চালায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। হামলায় নৌকার সমর্থক শরিফ, সাইফুল, বাবু হালদার, মনির ও রমজান গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগ জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজন হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্য দুজনের চিকিৎসা চলছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক জানান, ওই ঘটনার সময় একজন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কয়েকজন গুলিবিদ্ধের খবর শুনেছি। খবর পেয়ে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।