দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম নারী সরকারপ্রধান পেয়েছিল সুইডেন। কিন্তু সেই খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগ করলেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর একটি বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছিলেন এ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু তাতে সমর্থন দেয়নি জোটসঙ্গী গ্রিন পার্টি। বরং বিরোধী জোটের তোলে প্রস্তাবে সায় দিয়েছে তারা।
এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে দায়িত্ব পাওয়ার ১২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন অ্যান্ডারসন। তবে ৫৪ বছর বয়সী এ নেতা স্পিকারকে জানিয়েছেন, তিনি একক দলীয় সরকার, অর্থাৎ তার সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সরকারে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী।
নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবে বিরোধিতা করা প্রসঙ্গে গ্রিন পার্টি বলেছে, তারা অতি-ডানদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো খসড়া বাজেট মেনে নিতে পারেনি।
পার্লামেন্টের স্পিকার জানিয়েছেন, পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে তিনি দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এর আগে, বুধবার দিনের প্রথমভাগে সুইডিশ আইনের জটিল মারপ্যাঁচে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। সুইডিশ পার্লামেন্ট বা রিক্সড্যাগের ৩৪৯ সদস্যের মধ্যে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দেন ১১৭ জন, বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি। আর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন ৫৭ সদস্য।
সুইডেনের নিয়ম অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী হতে কারও তার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়ার দরকার নেই, শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তার বিরোধিতা না করলেই হলো।
সেই মতে অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোটের সঙ্গে বিরত থাকা সদস্যদের সংখ্যা যোগ হয়ে বিপক্ষ ভোটের সমান হয়ে যায়। আর তাতেই প্রথমবারের মতো কোনো নারীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে পায় সুইডেন।