ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁকে চিঠি দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে চিঠির ভাষ্যে ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে দেওয়া আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্যারিস।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল ডারমানো বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর খোলা চিঠিটিকে অগ্রহণযোগ্য এবং অংশীদারদের মধ্যে আলোচনার পাল্টা হিসেবে বিবেচনা করছি আমরা। যার ফলস্বরূপ প্রীতি প্যাটেলকে জানানো আমন্ত্রণ আর থাকছে না।
প্যাটেলের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হলেও বাকিদের নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সৃষ্ট সংকট নিরসনে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, জনসনের চিঠি ফ্রান্সকে হতাশ করেছে।
রোববারের ওই বৈঠকে যুক্তরাজ্য ছাড়াও বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং ইউরোপিয়ান কমিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ফ্রান্স।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ অভিযোগ করেছেন, বুধবার ২৭ জনের মৃত্যুর পর টুইটারে কল করে এ বিষয়ে ‘সিরিয়াস’ না হতে বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া বরিস জনসনের এক মুখপাত্র ইমানুয়েল মাক্রোঁকে ‘দুমুখো সাপ’ বলে অভিযোগ করেছেন।
“চিঠিটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা আরও খারাপ হয়েছে,” বলেছেন ইমানুয়েল মাক্রোঁ।
বুধবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার পথে ক্যালের উপকূলে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জন্য দুই দেশ একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।
জনসন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে লেখা তার চিঠিতে বুধবারের মতো ‘বেদনাদায়ক ঘটনা’ এড়াতে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্য যৌথ টহল চালু, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফ্রান্সে ফিরিয়ে নিতে দ্রুত একটি চুক্তি করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি