মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দেড়শ রানের জুটির সৌজন্যে চট্টগ্রাম টেস্টে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেলেন বহুদিন পর রানে ফেরা লিটন দাস।
১০ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পেলেন লিটন। এ শতক হাঁকাতে ৫০.২৭ স্ট্রাইক রেটে ১৯৯ বল মোকাবিলা করেছেন লিটন।
অন্যদিকে লিটনের পিছুপিছু এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিমও। ১৭১ বল খেলে ৯ বাউন্ডারিতে ৭৭ রানে অপরাজিত তিনি।
ইতোমধ্যে ৩৭১ বল মোকাবিলা করে ১৮৬ রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক-লিটন।
এই মাঠে এটাই পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের প্রথম দেড়শ রানের জুটি। ২০০৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকের সঙ্গেই মেহরাব হোসেনের ১৪৪ ছিল আগের সেরা।
সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে ৬৭ রানে জীবন পেয়েছেন লিটন।
শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইর পল টেনে পুল করেন লিটন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি এই কিপার-ব্যাটসম্যান। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি সাজিদ। পরের বলে দ্রুত একটি সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় হতে পারতেন রান আউট।
সেই সৌভাগ্যের প্রতিদান ঠিকই দিলেন লিটন। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকালেন নিজের ২৫তম টেস্টে।
এরআগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাইফ-সাদমান মিলে ভালো শুরুর আভাসই দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির করা বাউন্সার সামলাতে গিয়ে আবিদ আলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাইফ হাসান। আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ রান।
এরপর ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারলেন না আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। হাসান আলির করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাদমান। ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ১৪ রান। এদিকে দলীয় অধিনায়ক মুমিনুল হক মাত্র ৬ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। আর শান্তর সংগ্রহ ১৪ রান।
মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে স্বাগতিকরা। পরে পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস মিলে দলকে চাপ মুক্ত করেন। আর অর্ধ-শতক পূর্ণ করেন লিটন এবং মুশফিক দুজনই। এরপর অর্ধশতককে শতকে পূর্ণ করেন লিটন দাস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৭ রান। এখন ১০৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন লিটন। অন্যদিকে মুশফিকুর রহিম খেলছেন ৮১।