চট্টগ্রাম টেস্টে নতুন বল খুব ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। গতকাল প্রথম দিনে দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম। দুজনের ২০৬ রানের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। কিন্তু আজ সকালেই ছন্দপতন। সেঞ্চুরিয়ান লিটন ১১৪ রানে আর মুশফিক ৯১ রানে আউট হয়ে যান। ধসে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই টাইগারদের প্রথম ইনিংসের ইতি ঘটে ৩৩০ রানে।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হলো প্রথম দিনের মতোই। গতকাল দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। দিনশেষে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছিল ২০৪ রান। তবে আর দুই রান যোগ করতেই আজ শনিবার সকালে বিদায় নেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। হাসান আলীর বলে লেগ বিফোর হয়ে তাকে ফিরতে হয়। লিটনের ২৩৩ বলে ১১৪ রানের ঝলমলে ইনিংসটি ছিল ১১টি চার এবং ১টি ছক্কায় সাজানো।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী। কিন্তু অভিষেকটা তিনি রাঙাতে পারেননি। ১৯ বলে মাত্র ৪ রান করে হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে যান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লড়াই করে সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গী হন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। মুশফিক ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু দূর্ভাগ্য! ৯১ রান করেই তাকে ফিরতে হলো প্যাভিলিয়নে।
২২৫ বলের অসাধারণ এই ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারির মার। ফাহিম আশরাফের বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে কিপার রিজওয়ানর গ্লাভসে জমা হয়। এর মাধ্যমে দিনের শুরুতে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মেহেদি মিরাজের সঙ্গী হন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ৩০৪ রানে পতন হয় ৮ম উইকেটের। ‘নাইটওয়াচম্যান’ খ্যাত তাইজুল ইসলাম ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ১টি বাউন্ডারিতে ১১ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার হন। বাংলাদেশের ইনিংস চলে যায় শেষের পথে।
দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মেহেদি মিরাজ। তবে তার সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। আবু জায়েদ ১৯ বলে ৮ রান করে হাসান আলীর চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। ৩৩০ রানে ৯ম উইকেটের পতন। একই ওভারে এবাদত হোসেনকে (০) বোল্ড করে বাংলাদেশকে অল-আউট করেন হাসান। ২০.৪ ওভার বল করে মাত্র ৫১ রান দেওয়া হাসানের শিকার ৫ উইকেট। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩৩০ রানে। মিরাজ ৬৮ বলে ৩৮* রানে অপরাজিত থাকেন। ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি আর ফাহিম আশরাফ। ১টি নিয়েছেন সাজিদ খান।