সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে টানা ফর্মহীনতায় ভূগছিলেন মুশফিকুর রহিম। রঙ্গিন পোশাকে ব্যর্থ হলেও জাতীয় দলের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটার অবশেষে সাদা পোশাকে নিজেকে ফিরে পেলেন। বোর্ড সভাপতি-সমর্থক-মিডিয়া আর ক্রিকেটবোদ্ধাদের সৌজন্যে তাকে যে পরিমাণ সমালোচনা হজম করতে হয়েছে, তার যোগ্য জবাব দিচ্ছিলেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য! ৯১ রান করেই তাকে ফিরতে হলো প্যাভিলিয়নে। ২২৫ বলের অসাধারণ এই ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারির মার। ফাহিম আশরাফের বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে কিপার রিজওয়ানর গ্লাভসে জমা হয়।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হলো প্রথম দিনের মতোই। গতকাল দিনের প্রথম সেশনেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। দিনশেষে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছিল ২০৪ রান। তবে আর দুই রান যোগ করতেই আজ শনিবার সকালে বিদায় নেন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। হাসান আলীর বলে লেগ বিফোর হয়ে তাকে ফিরতে হয়। লিটনের ২৩৩ বলে ১১৪ রানের ঝলমলে ইনিংসটি ছিল ১১টি চার এবং ১টি ছক্কায় সাজানো।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী। কিন্তু অভিষেকটা তিনি রাঙাতে পারেননি। ১৯ বলে মাত্র ৪ রান করে হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে যান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রান্ত আগলে লড়াই করে সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গী হন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। মুশফিকের আউটে দিনের শুরুতে তিন উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের স্কোর ৭ উইকেটে ২৯৩ রান।