পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৪ বছর পূর্তি আজ। এ চুক্তির প্রায় দুইযুগ পার হলেও এখনো শান্তির খোঁজে পাহাড়ের মানুষ। এখানকার সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালিদের জীবন অনেকটা অতিষ্ঠ করে তুলেছে পাহাড়ের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চার সশস্ত্র গ্রুপের চাঁদাবাজিতে অসহায় এখানকার তিন জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। প্রতিবছর ৪শত কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে এসব গ্রুপের বিরুদ্ধে। কিন্তু অভিযোগ না পাওয়ার অজুহাত দিয়ে নির্বিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে একদিকে যেমন চাঁদাবাজিকে ঘিরে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা, তেমনি অন্যদিকে বাড়ছে জীবনযাত্রার খরচ ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়।
অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম। কিন্তু এই পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মিশে আছে এক গভীর আতঙ্ক।
দিনের পর দিন এসব পাহাড়ে নীরবে চলছে চাঁদাবাজি। জুমের ফসল, ফলমূল কিংবা পরিবহন থেকে ঠিকাদারি অথবা অবকাঠামো নির্মান সবকিছুতেই চাঁদা না দিলে নিস্তার নেই কারো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, এখানকার অন্তত চারটি সশস্ত্র গোষ্ঠী টোকেনের মাধ্যমে প্রতিবছর তিন পার্বত্য জেলা থেকে বছরে প্রায় চারশো কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। চাঁদাবাজি থেকে বাদ পড়েনা সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডও।
চাঁদা বাজির অস্তিত্ব অস্বীকার করছে না প্রশাসনও। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেউ কোনো অভিযোগ করে না, তাই ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন বলে মন্তব্য পুলিশের।
এদিকে এই চাঁদাবাজিকে ঘিরে প্রায়ই আধিপত্য বিস্তারের সংঘাতে জড়াচ্ছে বিবদমান সশস্ত্র গ্রুপগুলো। আর নিজেদের মধ্যে এই সংঘাতে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।