রোববার সন্ধ্যায় দেখা দিতে পারে ‘জাওয়াদের’ প্রভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড়
ফাইল ছবি

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর (রোববার) সন্ধ্যার পর বাংলাদেশে জাওয়াদের প্রভাব দেখা দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কাল শনিবার সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার বিকেল নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাসহ সুন্দরবন, সাতক্ষীরা ও এর আশেপাশের এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে ভারতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের আকাশ মেঘলা রয়েছে।

universel cardiac hospital

এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে সৌদি আরব। আরবি শব্দ ‘জাওয়াদ’ এর অর্থ উদার বা করুণাময়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পাঁচ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল এক হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে না থাকার জন্য বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত রয়েছে। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে আসতে পারে। অর্থাত্ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দিকে আসতে পারে। এর প্রভাবে আজ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বোঝা যাবে। এটি শনিবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ দিয়ে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে প্রবেশ করবে। এতে আগামীকাল (শনিবার) সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে।’

এদিকে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা কিছু কমতে পারে। শৃক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করুন