ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সেন্টমার্টিনে আটকা পর্যটক
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

আজ শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় রোববার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে মঙ্গলবার থেকে জাহাজ চলাচল আবারও শুরু হওয়ার কথা আছে। সেটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকবাহী জাহাজগুলো পুনরায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরছে।

ইউএনও পারভেজ আরও বলেন, যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে রাতযাপনকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে শনিবার সেন্টমার্টিনে যাওয়া জাহাজগুলো টেকনাফে ফিরছে। বেড়াতে এসে ৩০০’র বেশি পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে আছেন। যারা রোববারের জন্য আটকে গেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরতে পারবেন। এ রুটে পাঁচটি জাহাজ চলাচল করছিল। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচলে আবার অনুমতি দেওয়া হবে।

বিআইডব্লিউটিএ ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে পাঁচটি জাহাজে হাজার দেড়েক পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। এর মধ্যে অনেক পর্যটকই ফিরে এলেও তিন শতাধিক রয়ে গেছেন। যদিও এর আগের কয়েকদিনে যাওয়া আরও শতাধিক পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন। শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় পাঁচটি জাহাজ ঘাটে ফিরে আসে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েকশ পর্যটক দ্বীপে রাতযাপন করছেন। তারা সবাই ভালো আছেন। তাদের খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন