পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর নবম দফায় প্রথম দিনে ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ করছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত। আদালত চলবে আজ থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যা ব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামকে পাঁচ দিনব্যাপী আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরার করেন। এরপর অষ্টম দফার শেষ দিন গত বুধবার আট আসামি তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন।
অন্য সাত আসামির বক্তব্য গ্রহণের জন্য আজ থেকে ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, ওইদিন বুধবার দুপুরে জেরা শেষ হওয়ার পর সাক্ষীদের বক্তব্য আসামিদের শোনানো হয়। ওই দিন আট আসামি তাদের বক্তব্য শেষ করেছেন। তবে তারা সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন। তারা লিখিত আকারে পরীক্ষা দেবেন।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
আলোচিত এ মামলায় গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যা ব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৮৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।