গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসনকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে আইন কোনো বাধা নয়। বাধা হলো সরকার। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। কেমন অসুস্থ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন। কিন্তু সরকার আইনের কথা বলে তাকে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না৷
১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী ছিলেন এমনটা জানিয়ে ফখরুল বলেন, তিনি পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী ছিলেন। তাই আমরা বলি সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধ যতি কেউ করে তাদের মধ্যে নারীদের দিক দিয়ে তিনি অগ্রগামী থাকবেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তাকে কেন সাজা দেওয়া হয়েছে? একটা সাজানো মামলা। যাতে কোনোভাবে সাজা হয় না। একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাজা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। কারণ এরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এক-এগারোর পর থেকে যে বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত শুরু হয়েছিল এর অংশ হিসেবে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এখনো চলছে চক্রান্ত।
- আরও পড়ুন >> সংসদ সদস্য পদও হারাতে পারেন মুরাদ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সরকারের এত রাগ কেন? কারণ তিনি হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার মতো, তিনি রাস্তায় গণতন্ত্রের জন্য ডাক দিলে লাখ লাখ মানুষ নেমে আসবে। এটাই ভয়।
ফখরুল বলেন, সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে এমন করা হয়েছে যে, কেউ কোনো কথা বলতে পারছে না। আইন আদালতকে হাতের মুঠোয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, আপনাদের আয়োজন দেখে আশার সঞ্চার হয় আমাদের মধ্যে। বিশ্বাস করি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারবো। নেত্রীকে মুক্ত করতে পারবো, বিদেশে পাঠাতে পারবো।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও আইনজীবী ফোরামের নেতারা বক্তব্য দেন।