বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর দেশের বাজারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় সরকার। ওইদিন রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। যদিও ১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কের জেরে গত সপ্তাহে একদিনেই জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ১০ মার্কিন ডলার। অবশ্য এর আগে থেকেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম ছিল নিম্নমুখী। প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে, টানা ছয় সপ্তাহ তেলের দাম কমেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। সপ্তাহের হিসাবে ২০১৮ সালের পর টানা এতদিন তেলের দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকতে আর দেখা যায়নি। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশের কৃষকসহ সাধারণ মানুষের স্বার্থে শিগগিরই জ্বালানি তেলের দাম কমানো দরকার।
সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রধানত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সারাদেশেই রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজি, ভুট্টা, ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। এর মধ্যে আসছে বোরোর মৌসুম। আমাদের দেশের বেশিরভাগ কৃষক শুষ্ক মৌসুমে ফসল ফলাতে একেবারেই সেচের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে দেশে নতুন করে সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দিকে। পরিবহনের ভাড়াও বৃদ্ধি করেছেন মালিকরা।
আমরা মনে করি, অবিলম্বে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে। জনগণের ওপর মূল্যবৃদ্ধির যে বোঝা চাপানো হয়েছে, তা নামিয়ে স্বস্তিকর জীবনযাপনের সুযোগ করে দিতে হবে।