বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে সপ্তাহব্যাপী যাত্রা উৎসব। ‘যাত্রাশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০১২’ বাস্তবায়ন ও যাত্রাদল নিবন্ধনের লক্ষে একাডেমির আয়োজনে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে উৎসব শুরু হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে ১৩তম এ যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয় যাত্রা পালা ‘গুনাই বিবি’ (বরিশাল), ‘কলির ভগবান আসছে’ (পিরোজপুর), ‘কাজল রেখা’ (ময়মনসিংহ), ‘রক্ত দিয়ে কেনা বাংলার স্বাধীনতা’ (ঝালকাঠি), ‘মেঘে ঢাকা তারা’ (সাতক্ষীরা)।
এ সময় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এম আব্দুল্যাহেল বাকী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী, আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এস মোহাম্মদ আলী, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক আমিনুর রহমান সুলতান, যাত্রা ব্যক্তিত্ব তাপস সরকার ও মিলন কান্তি দে।
জানা গেছে, যাত্রাশিল্প উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা যাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে যাত্রাপালা মূল্যায়ন করছেন। এর ভিত্তিতে দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
যাত্রাশিল্প উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা হলেন- জ্যোৎস্না বিশ্বাস, আফসানা করিম, তাপস সরকার, মিলন কান্তি দে, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, মামুনুর রশীদ, রামেন্দু মজুমদার, ড. ইস্রাফিল শাহীন, ড. আমিনুর রহমান সুলতান, ড. তপন বাগচী, ড. আমিনুল ইসলাম, ইউসুফ হাসান অর্ক, তামান্না হক সিগমা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জন করে প্রতিনিধি।
ইতোমধ্যে ১২টি যাত্রা উৎসবের মাধ্যমে ১৩০টি যাত্রাদলকে নিবন্ধন দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। একই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ১২টি দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই যাত্রা উৎসব। প্রতিদিন দুপুর ২টা হতে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৩৮টি যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হবে। যাত্রাপালাগুলো দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।