খুলনায় কেএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গভীর রাতে হোটেল কক্ষে ঢুকে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গিরকে আটক করা হয়। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী বলেন, বাগেরহাটের মোংলা থেকে ১১ বছর বয়সী নিজ মেয়ে মিম আক্তারকে নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন খুলনায়। তবে চিকিৎসকের সাক্ষাৎ না পেয়ে পরে রাতযাপনের উদ্দেশ্যে উঠেছিলেন খুলনার শহীদ হাদিস পার্কের সামনে সুন্দরবন হোটেলের তৃতীয় তলা ৩১৩ নম্বর রুমে।
রাত ২টার দিকে মাতাল হয়ে ওই রুমে ঢুকেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এসআই জাহাঙ্গির মো. আলম। প্রথমে হোটেলের কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কক্ষের দরজায় আওয়াজ দেন জাহাঙ্গির। দরজা খোলার পর তাকে ধর্ষণ করে চলেন যান জাহাঙ্গির। যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী নারীকে রুমের দরজা খুলে রাখতে বলেন এবং জানান পরে আবার আসবে।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে হোটেলের আশপাশের লোকজন চলে আসে। এসময় হোটেল মালিক মিশারুল ইসলাম মনি তার প্রতিষ্ঠানে নারী ধর্ষণের খবর পেয়ে দ্রুত হোটেলে আসেন। পরবর্তীতে হোটেলের গেটে তালা মেরে আটকে রাখেন অভিযুক্ত এসআইকে।
পরে হোটেল মালিক খুলনা সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এসে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে এবং এসআই জাহাঙ্গিরকে নিয়ে যায় থানায়। মামলা করার পর এসআই জাহাঙ্গিরকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। আর ভুক্তভোগী নারীকে খুলনা মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ সার্ভিসে ভর্তি করা হয়েছে।