দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশেষে বাংলাদেশিদের জন্য খুলতে যাচ্ছে। দেশটির মন্ত্রিসভা শুক্রবার সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এই খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। চলতি ডিসেম্বর মাসেই দেশটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে বলে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভায় আমাদের এমওইউ অনুমোদিত হয়েছে। তবে আমরা এখনো লিখিতভাবে খবর পাইনি। যাই হোক না কেন, আমরা কিন্তু আনন্দিত। অনেক বছর পরে হলেও একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি কাজটা লিখিত খবর পাওয়ার পরে আমরা বুঝতে পারব।
চলতি মাসেই চুক্তি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করা যায় এই মাসের মধ্যেই এমওইউটা আমরা সম্পন্ন করে নিতে পারব। ওনারা চাইছে এটা খুব তাড়াতাড়ি করে নিতে। কিন্তু আমাদেরও তো কিছু কার্যকলাপ আছে। আর লিখিতভাবে আসার পর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ও বাণিজ্য সম্পর্কিত পত্রিকা ‘দ্য মালয়েশিয়ান রিজার্ভ’ এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির মন্ত্রিসভা সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর করোনা মহামারিতে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার এই অনুমোদনের ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়া বাংলাদেশিদের জন্য মধ্য এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ তৈরি হলো।
দ্য মালয়েশিয়ান রিজার্ভের প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে।
দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া শুরু হবে। এই শ্রমিকদের জন্য বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ এবং গৃহপরিচারকসহ বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত থাকবে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রয়েছে। দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারিতে মালয়েশিয়াপ্রবাসী হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে এসেছিলেন। তাদের জন্যও বন্ধ হয়ে যায় দেশটিতে প্রবেশ।