ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে আলোচনা করছে বিশ্বের ক্ষমতাধর কয়েকটি রাষ্ট্র। এ আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়ে তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিকল্প বিষয়ে ‘প্রস্তুতি’ নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ নির্দেশ দেন বলে জানায় হোয়াইট হাউস। খবর ডেইলি সাবাহ।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, যদি ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা ব্যর্থ হয় তবে আমাদের ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এ জন্য প্রেসিডেন্ট তার টিমকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন।
‘যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায় থাকবে না’, যোগ করেন সাকি।
স্থগিত হওয়ার পর বিশ্বের শক্তিধর কিছু দেশ ও ইরানের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইরান ও রাশিয়ার কূটনীতিকরা অংশ নেন। এ ছাড়া মার্কিন একটি প্রতিনিধি দল পরোক্ষভাবে আলোচনায় অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে সে জন্য তেহরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি।
কিন্তু ওবামার আমলে সম্পাদিত চুক্তিটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘বাজে চুক্তি’ উল্লেখ করে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেয়।
এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে গেলেও ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে, এখনও এই চুক্তির গুরুত্ব আছে। কারণ এ পরমাণু চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আন্তর্জাতিক তদারকিতে রাখা।
গত বছর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর ইরান ঘোষণা করে যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তার কোনোটিই তারা আর মেনে চলবে না। এরপর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইরান পরমাণু চুল্লি বৃদ্ধি করছে বলে খবর বেরিয়েছে।