আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল) থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ৩ ব্যক্তি, ১১ প্রতিষ্ঠানসহ ১৪ ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁদের আগামী ৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
পিএলএফএসএলের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ নভেম্বর করা ওই আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজিব উল আলম।
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাহার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং কোম্পানির নামে তিনটি, এস এস ফিলিং স্টেশন, বাধন ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শোভা ইন্টারন্যাশনাল (প্রা.) লিমিটেড, সামীর কাদের চৌধুরী, সামিয়া কাদের চৌধুরী, সাজিয়া কাদের চৌধুরী, জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নামে দুটি, জেসন অ্যাগ্রোভেট লিমিটেড, জেসন ব্রিডাস লিমিটেড ও জেসন ন্যাচারাল প্রোডাক্ট লিমিটেডের নামে ঋণ রয়েছে।
আদালতের আদেশ এবং ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে আইনজীবী মেজবাহুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ১২ জুলাই হাইকোর্ট পিএলএফএসএল পুনরুজ্জীবিত করতে ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন। আদেশ অনুসারে ৩০ দিনের মধ্যে ডাউনপেমেন্টের মাধ্যমে ঋণ পুনঃ তফসিলের জন্য পিএলএফএসএলের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে ঋণগ্রহীতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আদালতে সশরীর হাজির হয়ে তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে বলে আদেশে বলা হয়। এর মধ্যে ২১ জনের সঙ্গে পিএলএফএসএল যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
ছয়জন আদেশ অনুসারে ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃ তফসিল করেন। একজন অসুস্থ। অপর ১৪ ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হলে হাইকোর্ট ৩ ব্যক্তি ও ১১ প্রতিষ্ঠানের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন।