আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিএনপি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চরম অমানবিকতা দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, চরম অমানবিকতা প্রদর্শন করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যারা এমন অমানবিকতা প্রদর্শন করেছেন, তাদের প্রতি যে মানবিক আচরণ আমাদের নেত্রী দেখিয়েছেন, সেখান থেকে বিএনপির শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে।
আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ‘মত ও পথ’ সম্পাদক এবং সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরত এসেছিলেন। তখন তিনি ৩২ নাম্বার বাড়িতে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেখানে আমাদের নেত্রীকে ঢুকতে দেননি। তখন শেখ হাসিনাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল। তখন মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না?
গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হলো। পার্লামেন্টে যখন একটি শোক প্রস্তাব পালন করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো, তখন বিএনপি নেতারা হাস্যরস করে বললেন শেখ হাসিনা নিজে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তখন খালেদা জিয়া মুচকি মুচকি হাসছিলেন। তখন মানবাধিকার মনে ছিল না?
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মানবাধিকার রক্ষায় ঠিকই সভা সেমিনার করব। কিন্তু নিজের ঘরের মানবাধিকার রক্ষা করব না। এটা তো হতে পারে না। তাই মানবাধিকার রক্ষা নিজের ঘর থেকে আগে শুরু করতে হবে। নিজের স্ত্রীর যে অধিকার আছে, সেও যে পরিশ্রম করে, সেটি মাথায় রাখতে হবে। সে সবার আগে উঠে সবার পরে ঘুমাতে যায়। এইটা হওয়া সমুচিত কিনা সেই প্রশ্ন নিজের কাছে রাখা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তা নাহলে সঠিক মানবাধিকার রক্ষা সম্ভব হবে না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী, ঢাকার ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া।