মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীন, উত্তর কোরিয়া এবং মিয়ানমারের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতা অপব্যবহার করে দমন-পীড়ন চালাবে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, চীনের একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানিকেও কালো তালিকাভুক্তের আওতায় আনা হয়েছে।
এর আগেও মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় যোগ দিয়েছে কানাডা ও ব্রিটেন। তবে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে প্রথমবার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লো উত্তর কোরিয়া। মার্কিন ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো বলেন, আমরা কানাডা ও যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্বে বার্তা দিতে চাই যে যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিপীড়ন চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে (১০ ডিসেম্বর) গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন ও জবাবদিহির আওতায় আনতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার উগান্ডা, চীন, বেলারুশ, শ্রীলঙ্কা ও মেক্সিকোর ১০ জন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মানবাধিকার সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এখনও এই দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমান সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘ দিন ধরে দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে লাখ লাখ লোককে বন্দি করা হয়েছে। সম্প্রতি জিনজিয়াংয়ের মুসলিম উইঘুর জনগোষ্ঠীর জন্য আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৪৩টি দেশ।
অন্যদিকে, মিয়ানমারে জান্তা সরকারও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুতের বিরোধিতায় সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১ হাজার তিনশ’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।