ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইভ-জি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো পঞ্চম প্রজন্মের টেলিকম সেবা ফাইভ-জি। ফলে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ ঐতিহাসিক যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন।

universel cardiac hospital

শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন এলাকা, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। তবে এটি সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে। এরপর রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক রাজধানীর ২০০ স্থানকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনবে।

এরআগে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালে ঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সীমিত পরিসরে ফাইভ জি চালু করতে যাচ্ছে সরকার।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ফাইভ জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিকস, বিগডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি প্রযুক্তির আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ইত্যাদি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, চালকবিহীন গাড়ি চালানো যাবে এবং স্মার্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে অটোনোমাস উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে। প্রাথমিকভাবে টেলিটক ঢাকা শহরের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সাভার এবং ঢাকার বাইরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ফাইভ জি কাভারেজের আওতায় আনা হচ্ছে। পরে ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করা হবে। আগামী মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেওয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এ প্রযুক্তি চালু করবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা থ্রি-জি চালু হয়। এরপর ফোর-জি চালু হয় ২০১৮ সালে। যদিও দেশের বেশির ভাগ মুঠোফোন গ্রাহক এখনো টু-জি প্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির ১৩তম সভার কার্যপত্র অনুযায়ী, দেশে মোট গ্রাহকের ৩৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এই হার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম।

শেয়ার করুন