ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) আওতায় ৮ দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ১০ শতাংশ হচ্ছে। এজন্য ডি-৮ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্টের (পিটিএ) আওতায় অন্য সদস্য দেশগুলোর শুল্ক ছাড় দেওয়া পণ্য তালিকা ও সার্টিফিকেট অব অরিজিন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ডি-৮ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্টের (পিটিএ) আওতায় অন্য সদস্য দেশগুলোর শুল্ক ছাড় দেওয়া পণ্য তালিকা ও সার্টিফিকেট অব অরিজিন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখানে ওআইসির (ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা) আটটি মুসলিম দেশ- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক রয়েছে। এই দেশগুলোর সমন্বয়ে ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মধ্য দিয়ে ডি-৮ (উন্নয়নশীল আটটি দেশ নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা) গঠন করা হয়েছিল। এখন ডি-৮-এর মধ্যে যতগুলো পণ্য আছে সেগুলোর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে আসা হবে। তাহলে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এটি ওআইসির ৪১টি দেশের মধ্যে করা যায় কি না সেটা চিন্তা-ভাবনা আছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বৈত করারোপণ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে অনুস্বাক্ষরিত চুক্তির সংশোধিত খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২/২৩ ডিসেম্বর মালদ্বীপ যাচ্ছেন। সেখানে একটা ট্রেড এগ্রিমেন্ট সই হবে। ওটা আগেই অনুমোদন করা ছিল। ওটার ২৮ ধারাতে কতগুলো করারোপের বিধি-বিধান ছিল। সেগুলোকে দু’দেশ আলাপ-আলোচনা করে বাতিল করে দিয়েছে যে ওগুলো আর দরকার নেই।