চলতি ও আগামী বছরে উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কোথায় দাঁড়াতে পারে তার একটি পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এখন আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে তারা। কাটছাঁট করা হয়েছে প্রবৃদ্ধির হারে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণেই এমন অবস্থান প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ওমিক্রন প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপরই দেশে দেশে নতুনভাবে শুরু হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। থমকে যায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা। বর্তমানে এর বড় প্রভাব পড়েছে এশিয়ার অর্থনীতিতে। প্রত্যাশা অনুযায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে এশিয়ার এই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এডিবির সবশেষ তথ্য প্রকাশিত হয় মঙ্গলবার। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালে ৭ শতাংশ এবং ২০২২ সালে পাঁচ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। যা তাদের আগের অনুমান থেকে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কম। এর আগে সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটি পূর্বাভাস দিয়েছিল এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক এক শতাংশ হবে। এপ্রিলে এই হার ছিল সাত দশমিক তিন শতাংশ। করোনার ডেল্টা ধরনের কারণে তখন এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ অর্থাৎ ওমিক্রন এ অঞ্চলের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া চীনের আবাসন ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদি সংকট, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ সমস্যা অর্থনীতির জন্য হুমকি।
চীনের প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালে ৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালে পাঁচ দশমিক তিন শতাংশে কাটছাট করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যথাক্রমে শূন্য দশমিক এক শতাংশ ও শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম। অন্যদিকে ২০২১ সালে ভারতের প্রবৃদ্ধির ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ২০২২ সালের অনুমান সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য ২০২১ সালের প্রবৃদ্ধি কমবে শূন্য দশমিক এক শতাংশ। তবে আগামী বছর এটি বেড়ে হবে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ।
এডিবি জানিয়েছে, আঞ্চলিক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য থাকবে। মূল্য বৃদ্ধির অনুমান ২০২১ সালের জন্য শূন্য দশমিক এক শতাংশ হলেও তা বেড়ে দুই দশমিক এক শতাংশ হবে। কিন্তু আগামী বছরের জন্য যে দুই দশমিক সাত শতাংশ অনুমান করা হয়েছিল তা অপরিবর্তিত থাকবে।