বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমাদের রাজনৈতিক সংকটের কারণ বিজয়ের ৫০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা এখনো চিহ্নিত করতে পারিনি। তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম লিখিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছে, অথচ একজ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যার সাহায্য ও সহযোগিতা আমরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে শত্রুদের উপর আক্রমণ চালাতে সক্ষম হয়েছিলাম তাঁকে তালিকাভুক্ত করতে আমার অনেক ফাইট করতে হয়েছে। অবশেষে এই ডিসেম্বরে এসে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। বিষয়টি যতবার ভাবি ততবারই আমার হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়।
বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কর্তৃক আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ভুয়াকে তালিকা থেকে বাদ দিতে সক্ষম হয়েছি, আরও অনেকগুলো বাকি আছে কিন্তু তারা হাইকোর্টে রিট করে টিকে আছে; আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের বলেছি আপনারা আমাকে বাদী করে মামলায় লড়ে কিন্তু তারা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়েও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অনেক প্রেতাত্মা ঘাপটি মেরে বসে আছে।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, যুদ্ধকালীন সময়ে এদেশের একটি বড়ো অংশ জয় বাংলা স্লোগানের বিরোধিতা করেছিলো কিন্তু আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারনে মুক্তিযুদ্ধ সফলতা অর্জন করেছিলো।
পৌরসভা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।