মহামারি করোনারভাইরাসের নতুন এক ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্ক পেয়ে বসেছে বিশ্বকে। বলা হচ্ছে এটি কোভিড-১৯ এর চেয়ে অনেক ভয়ংকর। এমনকি বলা হচ্ছে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যে টিকা নেওয়া হয়েছে, তা ওমিক্রন প্রতিরোধে কোনো কাজে নাও লাগতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ভাইরাসের ডেল্টা বা মূল করোনাভাইরাসের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি দ্রুতগতিতে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে ওমিক্রন।
ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের একটি গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
বুধবার এক বিবৃতিতে হংকংয়ের ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, সংক্রমণের ২৪ ঘণ্টা পরে মানব ব্রঙ্কাসে ওমিক্রনের বিস্তারের সুপারচার্জড গতি পাওয়া গেছে। মাইকেল চ্যান চি-ওয়াইয়ের নেতৃত্বে ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের একদল গবেষক এই গবেষণায় অংশ নেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের ফুসফুসের টিস্যুতে সংক্রমণের মাধ্যমে মূল করোনাভাইরাস যে ধরনের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে গুরুতর অসুস্থতার সম্ভাবনা তার চেয়ে ‘১০ গুণেরও অধিক’ কম।
এতে আরও বলা হয়েছে, একজনের কাছ থেকে অন্যজন সহজে সংক্রমিত হলেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসের ততটা ক্ষতি করে না যতটা ভাইরাসের পূর্ববর্তী স্ট্রেনগুলো করতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর গত তিন সপ্তাহের বেশি সময়ে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। তবে ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের কেবল হালকা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।
ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের গবেষণায়ও মূলত এই বিষয়টিই উঠে এসেছে।
ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে সংক্রমণের উপসর্গও কিছুটা আলাদা। ওমিক্রনে সংক্রমিতদের সাধারণ কিছু উপসর্গ হচ্ছে- প্রচন্ড মাথা ব্যথা, হাত-পাসহ শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি ও গলা শুকিয়ে যাওয়া। এছাড়া ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে পালস রেট এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি সংক্রমণ বেশি হলে প্রচন্ড ক্লান্তি, শরীর ব্যথা ও মাথা ব্যথা শুরু হচ্ছে।