অপেক্ষা বাড়ছিল। ছিল উৎকণ্ঠাও। দুবার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। কোনোবারই ধরতে পারেননি জশ বাটলার। সেঞ্চুরিটা হওয়ার পর ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে যেমন ভেসে আসছিল ‘বড় খেলোয়াড়রা তাদের দেওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে জানেন।’ মার্নাস লাবুশেন করলেন সেটিই।
২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে পেয়ে গেলেন ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম। গত অ্যাশেজে প্রথম ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে স্টিভেন স্মিথের বদলে মাঠে নেমেছিলেন লাবুশেন। অ্যাশেজে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা পাওয়ার দিনে অন্য প্রান্তে থাকলেন ওই স্মিথই।
অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হওয়ার আগে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, ‘লাবুশেন পারলে সারা দিন ও রাত খেলতো’। তার যেন উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকল অ্যাডিলেড টেস্ট। ধৈর্য, সংযম, লড়াই করার স্পৃহা, বল ছেড়ে দিতে বোলারকে ক্লান্ত করে ফেলা, টেকনিক আর টেম্পারমেন্ট।
লাবুশেনের ইনিংসে মিশে থাকল সবকিছুই। সেঞ্চুরি পেতে খেলেছেন ২৮৬ বল। আগের দিন আটকে ছিলেন ৯৫ রানে। তৃতীয় দিনের শুরুতেই পৌঁছান ৯৬ রানে। এরপর জেমস অ্যান্ডারসনের বলে চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
এর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য আবারও জীবন পেয়েছেন লাবুশেন। ওলে রবসনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। সেটা ধরেওছিলেন বাটলার। কিন্তু যখনই আনন্দে ভাসবেন পাপ মোছনের। তখনই দেখা যায় রবসনের বলটি ছিল নো বল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।