ফারিয়াকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বামী!

বিনোদন প্রতিবেদক

আলোচিত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার ডিভোর্স হয়েছে এক বছরের বেশি সময় আগে। এতদিন পর প্রাক্তন স্বামী হারুনুর রশীদ অপুর অত্যাচারের কথা তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, তাকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই ভাঙা হাত নিয়েই তিনি ‘দেবী’ ছবির প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় লোকজন জিজ্ঞেস করলে ফারিয়া বলেছিলেন, তিনি সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছেন।

সম্প্রতি দেশে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে ইলমা নামে একটি মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তাকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন গায়িকা লোপা হোসাইন। সেই স্ট্যাটাসটি ফারিয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

ফারিয়া লিখেছেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পেছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে কীভাবে আমি ‘দেবী’ সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি। যখন কেউ জানতে চেয়েছে কী হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যাথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কীভাবে ব্যাথা পেয়েছি!’

‘কারণ আমি জানতাম, এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কী বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কীভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এতো আয়োজনের প্ল্যান করছে তাদের কী জবাব দিবো! কাবিনের তিন মাস না যেতেই এতো কিছু! নিশ্চয়ই সমস্যা আমারই! আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি! বার বার ভেবেছি, কিছু হলে সবাই আমাকেই খারাপ বলবে!’

‘কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে, মানুষ কী বলে তার চেয়ে নিজের ভালো থাকা আরও অনেক জরুরি! জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরি!’

বুধবার এই পোস্ট দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার আরও একটি পোস্ট করেন ফারিয়া। সেখানে তিনি দাবি করেন, কারও সম্মান নষ্ট করতে আগের দিনের পোস্টটি তিনি করেননি। বরং সমাজের দৃষ্টি দিয়ে একটা মেয়ের জীবনকে বর্ণনা করতে চেয়েছেন মাত্র। তিনি নিজে বিয়ের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাসী। চট করে বিয়ে ভাঙাতেও বিশ্বাসী নন।

তবে ফারিয়ার আফসোস, ‘এই সমাজ পুরুষদের মহিমান্বিত করতে এবং নারীদের লজ্জা দিতে ভালোবাসে। তুমি মরে গেলে মানুষ দুঃখ পাবে। তুমি যদি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা কর এবং তালাক পাও, ‘তুমি খারাপ!’

কাজের সূত্রেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ অপুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল শবনম ফারিয়ার। এরপর বন্ধুত্ব, ধীরে ধীরে প্রেম। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ২০১৮ সালে আংটি বদল সারেন। ওই বছরই বিয়ে।

কিন্তু এই ভালোবাসার সংসারের আয়ু ছিল মাত্র এক বছর ৯ মাস। ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর তাদের পাকাপাকি বিচ্ছেদ হয়। সে সময় ফারিয়া বলেছিলেন, দাম্পত্যে বনিবনা ছিল না। তাই পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন।

শেয়ার করুন