ভাসানচরের পথে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়েছেন ৬১৩ রোহিঙ্গা। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়।
রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, দুইটি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের আর একটি জাহাজে করে তাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এর আগে ভাসানচরে নেওয়ার উদ্দেশে শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করেন। সেখানেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভাসানচরে গিয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে পতেঙ্গা বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
উল্লেখ্য, প্রায় আট মাস পর গত ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছান। এর আগে ছয় দফায় প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝখানে প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন (২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব)।