বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে অনুমতি ছাড়া প্রেসক্রিপশন দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এতে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রীরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষ থেকে সভায় যুক্ত হন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রস্তাবিত আইন অনুসারে স্বীকৃতি ছাড়া কোনো সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মিথ্যা উপাধি ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৩ সালের একটি অর্ডিনেন্সকে আইনে পরিণত করতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইনে ৫০টি ধারা আছে। রাজধানী ঢাকায় একটি আয়ুর্বেদিক বোর্ড থাকবে। বোর্ড থেকো অনুমোদন নিয়ে যেকোনো স্থানে শাখা করা যাবে। পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে, চেয়ারম্যান সভাপতি এবং একজন রেজিস্ট্রার থাকবে। বছর শেষে একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিতে হবে।
সচিব বলেন, মেডিকেল কাউন্সিলের মতো একটি কাউন্সিল থাকবে। তারা অ্যাকাডেমিক বিষয়গুলো দেখবে। কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হবে তিন বছরের জন্য। কাউন্সিলই সভাপতি নির্বাচন করবে। কাউন্সিলে ১৬ ক্যাটাগরির সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে তিনজন সংসদ সদস্য, যাদের স্পিকার মনোনয়ন দেবেন। ডিজি হেলথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ডিন, চট্টগ্রাম রাজশাহী ও খুলনা মেডিকেল থেকে মেডিসিন অনুষদের একজন ডিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের রেজিস্ট্রার, সরকারি পর্যায়ে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ ও বেসরকারি পর্যায়ে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কলেজের অধ্যক্ষ- এরকম প্রায় ১৯ জন সদস্য।
আজকের মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ চিকিৎসা অ্যাক্রেডিটেশন আইনের খসড়াও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া মালদ্বীপের কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বন্দীদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সইয়ের জন্য চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।