আইন সম্ভব না হলে ইসি গঠনে অধ্যাদেশ চায় জাতীয় পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টি

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তবে সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে তা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। আজ সোমবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টি এই প্রস্তাব দেয়। বিকাল চারটায় জাপার মাধ্যমে ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আরও আটটি দলের সঙ্গে সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক করেছে বঙ্গভবন।

জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুনু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা।

universel cardiac hospital

সংলাপ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে জাপা। সার্চ কমিটির জন্য পাঁচ সদস্যের নামও প্রস্তাব করে দলটি।

সংলাপ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বের হয়ে বঙ্গভবনের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, আন্তরিক পরিবেশে সংলাপ হয়েছে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের যে বিধান রয়েছে, সেটি অনুসরণ করার কথাই আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে তাদের কর্তৃত্ব আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। আমরা এরকম কমিশন চাই না। আমরা কর্তৃত্বশীল একটি নির্বাচন কমিশন চাই।

জিএম কাদের বলেন, আইন না মানলে শাস্তির বিধান রেখে সংবিধানে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। এখন এই আইন প্রণয়নের জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সরকার আইন করতে না চাইলে আমরা আইন প্রণয়নে কাজ করব। আমাদের দায়িত্ব দিলে আমরা এই সময়ের মধ্যেও আইন করতে পারব। এটা সম্ভব। তারপরও যদি আইন করা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারির মাধ্যমে আইন জারি করতে পারেন। সেই অধ্যাদেশের আওতায় নির্বাচন কমিশন গঠন করা যেতে পারে।

নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপ্রধান।

শেয়ার করুন