বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সংলাপ। প্রথমদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সঙ্গে। দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে এ সংলাপে আমরা বিএনপিরও অংশগ্রহণ করা উচিত বলে মনে করি।
রাষ্ট্রপতিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ নিয়ে এই সংলাপকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। তবুও এবার সংলাপের মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি থাকবে, যাতে তারা অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম হয়। সেইসঙ্গে আমরা অবশ্যই আশা করব, নতুন নির্বাচন কমিশনে অপরিচিত বা অগ্রহণযোগ্য কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। কারণ, বর্তমান কমিশনে এসব বাস্তবতা বিদ্যমান থাকায় সরকারকে নানামুখী সমালোচনা সইতে হয়েছে এবং হচ্ছে।
প্রসঙ্গত বলতে হচ্ছে, কমিশনে নারী সদস্য রাখা মানে অপরিচিতি বা মনগড়া পছন্দের কাউকে রাখা নয়, অবশ্যই তার দেশজুড়ে ন্যূনতম একটা পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। কমিশনের প্রধানকেও অবশ্যই হতে হবে সুপরিচিত এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আপিল বিভাগের সাবেক কোনো বিচারপতি, সাবেক প্রধান বিচারপতি অথবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে- বিতর্কিত বা অগ্রহণযোগ্য কাউকে যেন দেশ ও জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই কমিশনে কোনো দায়িত্ব না দেওয়া হয়।