নাসিক নির্বাচনে সবাইকে আইভীর পক্ষে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) দুইবারের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এজন্য তার পক্ষে সব নেতাকর্মীকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

universel cardiac hospital

সভার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের মুঠোফোনে কল দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সবাইকে একযোগে নৌকার পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেন দলীয় প্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রার্থী অনেকেই আছেন, কিন্তু একজনকে যেহেতু মনোনয়ন দিতে হবে তাই আমি আইভীকে দিয়েছি। আইভী নৌকার প্রাথী সবাই নৌকার বিজয়ে কাজ করবেন এটাই আমি চাই।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা একযোগে হাত নেড়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে দেখলাম একজন নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করছেন। আসলে তিনি বিএনপি জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে একটি কমিটি করে দিয়েছেন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে এই কমিটি তাদেরকে সহায়তা করবে।’

নানক বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য। আমি দেখেছি- অনেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে নির্বাচিত করাই আমাদের একমাত্র দলীয় আদর্শ ও লক্ষ্য। মনে রাখতে হবে, আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে তা হবে পার্টির সমালোচনা। কিন্তু পাবলিকলি তা আলোচনা আসতে পারবে না। কিন্তু দল দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে অদায়িত্বশীল কথাবার্তা পছন্দ করে না।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সায়েম খান, সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

শেয়ার করুন