দলের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের করোনা পজিটিভ হওয়ায় বাংলাদেশ দলকে চলে যেতে হয়েছিল আইসোলেশনে। অনুশীলনে নামার অনুমতিই মিলছিল না। ঘরবন্দি হয়ে একে অপরের মুখ দেখেই মন ভালো করছিলেন মুমিনুল বাহিনীর সদস্যরা।
ক্রিকেটারদের অনেকে তো সিরিজ ছেড়ে দেশেই ফিরে আসতে চাচ্ছিলেন! অবশেষে দুঃসময়ের কালো মেঘ সরে গেল বাংলাদেশ শিবিরের আকাশ থেকে। হেরাথের করোনা পজিটিভ হওয়া কেন্দ্র করে যে দীর্ঘ কোয়ারেন্টিনে ছিল মুমিনুল বাহিনী, সেই করোনা প্রটোকলের বিধিনিষেধ কেটে গেছে।
২১ ডিসেম্বর থেকে খোলা আকাশের নিচে অনুশীলনে নামতে বাধা নেই বাংলাদেশ দলের। সোমবার সকালে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এক ভিডিওবার্তায় এ সুখবর জানিয়েছেন।
ভিডিওবার্তায় সুজন বলেন, ‘গতকাল আমাদের সবার আরেক দফা করোনা টেস্ট হয়েছিল। সবার নেগেটিভ এসেছে। তাই আর কোনো ঝক্কি-ঝামেলা নেই। আমরা এখন থেকে মুক্ত। কাল আমাদের সোয়া ১০টা থেকে অনুশীলন শুরু লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। সেখানে আমরা জিমের সুযোগ পাব। ওখানে অনুশীলন শেষে আমরা হোটেলে উঠে যাব। এর পর আমরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারব, ট্রেনিং করতে পারব, সবই করতে পারব। নিজেদের তৈরি করতে পারব প্রথম টেস্ট ম্যাচের জন্য। দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশা— আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন এখানে সুস্থ থাকি এবং ভালো একটি সিরিজ খেলতে পারি।’
গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে বাংলাদেশ টেস্ট দল। দুবাই থেকে একই ফ্লাইটে নিউজিল্যান্ড যাওয়া এক যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়লে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা। ওই যাত্রীর কাছাকাছি থাকা দলের ৯ সদস্যকে দেওয়া হয় ইয়েলো ব্যান্ড। এর পর থেকে বাংলাদেশ দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।
ক্রিকেটারদের সামনে টানা সূচি। একই সঙ্গে টানা কোয়ারেন্টিনে থাকায় মানসিকভাবে চাপ তৈরি হচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। নতুন বছরের প্রথম দিন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে শুরু হবে প্রথম টেস্ট।