নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতীতে শুধু সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করে কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক ফল আসেনি। তাই নির্দলীয়, সৎ ও গ্রহণযোগ্য ইসি নিয়োগে দ্রুত আইন প্রণয়ন দরকার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে আমরা জেনেছি যে, নতুন ইসি গঠনে আজ (সোমবার) থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন তা নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো তাগিদ বা উচ্ছ্বাস নেই। দলগুলোর নীতিনির্ধারকরাও মনে করছেন না যে এই সংলাপে ইসি গঠনে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব কিংবা নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন বিষয়ে ইতিবাচক কোনো আলাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
তিনি মনে করেন, সংলাপের মাধ্যমে সার্চ কমিটি করে গঠিত ইসি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চূড়ান্তরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই সংলাপের ফল যাই হোক না কেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতি সবার প্রত্যাশা- দেশের আপামর জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনে অবিলম্বে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া।’
গত দুই সংসদ নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের পর গঠিত দুটি নির্বাচন কমিশনই ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছে বলেও জানায় টিআইবি।
প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন এবং সেই আইন অনুযায়ী ইসি নিয়োগের বিকল্প নেই উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, ‘একটি প্রকৃত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন এবং সেই আইন অনুযায়ী ইসি নিয়োগের বিকল্প নেই। যাতে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব এমন ব্যক্তিবর্গের হাতে অর্পিত হয় যারা নির্দলীয়, সর্বজন গ্রহণযোগ্য ও নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সৎসাহসের অধিকারী হবেন।’
জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে শুধু নির্বাচনের দিনই নয়, মনোনয়ন জমা দেওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে স্বাধীন ও নির্দলীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মুক্ত ও অবাধ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি জানায় টিআইবি।