মাঝে কয়েক বছরে ইয়াসির শাহ হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্টের মূল ভরসা। দেশটিকে টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে তুলে নিয়েছিল ইয়াসিরের লেগ স্পিন। গত কিছুদিন অবশ্য একটু আড়ালে চলে গেছেন তিনি। চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও দেখা যায়নি তাঁকে।
তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে ক্রিকেট মাঠে আর কখনো দেখা যাবে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। এক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণে সহযোগিতা ও ব্যাপারটা ধামাচাপার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইয়াসিরের বিরুদ্ধে।
ইসলামাবাদের শালিমার থানায় ইয়াসিরের বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর একটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণ ও নিপীড়নে সহযোগিতা করেছেন ইয়াসির। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৪ আগস্ট ইয়াসিরের বন্ধু ফারহান অস্ত্রের মুখে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন এবং সে ঘটনা ভিডিও করে রেখেছেন।
অভিযোগকারী বলছেন, এ ব্যাপারে ইয়াসির শাহ তাঁর বন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন এবং ফারহানের সঙ্গে মিলে হুমকি দিয়েছেন, ঘটনাটি কোথাও জানালে ভিডিও ফাঁস করে দেবেন।
পুলিশের কাছে করা অভিযোগে বাদী বলেছেন, যখন ইয়াসিরের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে সহযোগিতা চেয়েছেন, তখন নাকি ইয়াসির তাঁর উদ্দেশে হেসেছেন এবং বলেছেন চুপ থাকতে। যখন পুলিশের কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন, তখন ইয়াসির তাঁকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিতে চেয়েছেন এবং ১৮ বছরের জন্য মাসিক একটা ভাতা দিতে চেয়েছেন। জিও টিভি বলছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্ষমতা ব্যবহার করার হুমকিও দিয়েছিলেন ইয়াসির।
মেয়ের এক আত্মীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার সময় বলেছেন, ইয়াসির শাহ বলেছিলেন, তিনি খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চেনেন। ইয়াসির ও ফারহান অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও বানান।
এ ব্যাপারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বলেছে, আমাদের চুক্তিবদ্ধ এক খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ওঠার খবর পেয়েছি আমরা। বোর্ড আপাতত এ ব্যাপারে সব তথ্য জোগাড় করছে এবং সব তথ্য পেলেই মন্তব্য করবে।
৩৫ বছর বয়সী ইয়াসির পাকিস্তানের হয়ে ৪৬ টেস্ট খেলে ২৩৫ উইকেট পেয়েছেন।